Ami Major Dalim Bolchi Book (Paperback)

Category: Books
SKU: MST05212
Seller: Manuscript

Tk 189
Tk 350
Tk 350
46% OFF


Synopsis:

শরিফুল হক ডালিম (জন্ম: ১৯৪৬)[১] যিনি মেজর ডালিম নামে অধিক পরিচিত, হলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন প্রাক্তন সামরিক কর্মকর্তা। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার সাথে তিনি জড়িত ছিলেন। শেখ মুজিব নিহত হবার পর মেজর ডালিম (পরবর্তীতে লেফটেন্যান্ট কর্নেল) বাংলাদেশ বেতারে নিজেই হত্যার সাথে জড়িত থাকার ঘোষণা দেন। ৭৫ পরবর্তী কতিপয় সরকার তাকে বিদেশে বিভিন্ন বাংলাদেশি দূতাবাসে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেয়।

কর্মজীবন শরিফুল হক ডালিম প্রথমে ১৯৬৪ সালে পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে যোগদান করেন। ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের পর তিনি বিমান বাহিনী থেকে সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন।[৪] ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫ সালের শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর তাকে সেনাবাহিনীতে পুনঃনিয়োগ করা হয় এবং লেঃ কর্ণেল পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। ১৯৭৬ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিয়োজিত হবার পর গণচীনে তাকে কূটনীতিক হিসাবে প্রেরণ করা হয়। ১৯৮০ সালে তিনি লন্ডন হাই কমিশনের সাথে যুক্ত হন। ১৯৮২ সালে কমিশনার হিসাবে হংকং-এর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ১৯৮৮ সালে রাষ্ট্রদূত হিসাবে কেনিয়ায় দায়িত্ব পালন করেন। একই সাথে তাকে তানজানিয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়। ইউনেপ (UNEP) এবং হেবিটাট (HABITAT) এ বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসাবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন। সোমালিয়ায় যুদ্ধকালীন সময়ে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর অংশ হিসাবে প্রেরিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের সার্বিক তত্ত্বাবধানের বিশেষ দায়িত্বও তিনি পালন করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি সরকারি চাকুরি থেকে অবসর লাভ করেন।

মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে শরিফুল হক ডালিম পাকিস্তানে (তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান) ছিলেন। ২০ এপ্রিল ১৯৭১ সালে তিনি পাকিস্তান থেকে পালিয়ে ভারত আসেন এবং সেখান থেকে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।[৪][৫] মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ সাহস ও কৃতিত্বের জন্য তিনি বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হন। তবে ২০২১ সালের ৬ জুন তৎকালীন সরকার শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় শরিফুল হক ডালিমসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চারজনের মুক্তিযুদ্ধের খেতাব বাতিল করে।[৩]

শেখ মুজিব হত্যা ১৯৭৫-এ বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার সাথে মেজর ডালিম সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। মেজর সৈয়দ ফারুক রহমান, খন্দকার আবদুর রশিদ, ডালিমসহ আরও কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা ১৯৭৫ সালে একটি সেনা অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ডালিমকে রাষ্ট্রপতি মুজিবকে হত্যা করতে নেতৃত্ব দিতে বলা হয় তবে ডালিম সেটি করতে অস্বীকার করেন। এরপর তাকে দ্বিতীয় ফিল্ড আর্টিলারি রেজিমেন্টের দায়িত্ব দেয়া হয়। সেনা-অভ্যুত্থান চলাকালে শেখ মুজিবকে হত্যা করা হয়। পরে ডালিম বাংলাদেশ বেতারের নিয়ন্ত্রণ নেন এবং একটি ঘোষণা দেন: ‘আমি মেজর ডালিম বলছি, শেখ মুজিবকে হত্যা করা হয়েছে। খন্দকার মোশতাক আহমদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করেছে। কারফিউ জারি করা হয়েছে।’[৬]

শেখ মুজিব হত্যা মামলায় মেজর ডালিমকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দেওয়া হয়। তবে বর্তমানে তিনি পলাতক আছেন।[৭]

ব্যক্তিগত জীবন ডালিম, নিম্মি চৌধুরীকে বিয়ে করেন এবং তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।[৮] তার ছোট ভাই হলেন কামরুল হক স্বপন।[৯]






Customer Questions and answers :

Login to ask a question