বর্তমান সময়ে শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকলেরই কম বেশি গ্যাস্ট্রিক সমস্যা রয়েছে। গ্যাস্টিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আমরা অনেকেই এন্টাসিড জাতীয় গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাচ্ছি যেটি আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। গ্যাস্ট্রিক সমস্যার জন্য প্রাকৃতিকভাবে যদি কোন ওষুধ সেবন করা হয় তাহলে সেটি হবে পূর্ণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত এবং নিরাপদ।
সেই লক্ষ্যে আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে আসলাম আমলকি হর্তকি বহেড়া মেথি সোনা পাতা ইত্যাদি সহ প্রায় ৩০ প্রকারের ভেষজ উপাদানের সমন্বয়ে তৈরি প্রাকৃতিকভাবে গ্যাস্ট্রিকের সমাধান স্পেশাল গ্যাস্ট্রো প্যাক।
আমাদের এই স্পেশাল গ্যাস্টো প্যাক সেবনের ফলে আপনি যে সকল উপকারিতা পাবেন।
১. অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি: যদি সারাক্ষণ গ্যাস, অম্বল, পেটফাঁপার সমস্যায় ভোগেন তাহলে গ্যাস্ট্রি প্যাক খান। এটি একাধিক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। হঠাৎ করেই যদি অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়ে তাহলে গ্যাস্ট্রো প্যাক খান।
২.বদহজম দূর করে: খাওয়া-দাওয়াই অনিয়মসহ তৈলাক্ত ও ভাজাপোড়া খাবার খাওয়ার কারণে অত্যাধিক গ্যাস জমে পেট ফেঁপে বা ফুলে ওঠে। কার্বোহাইপ্রোডাক্ট ড্রেট জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া হলে এবং হজমে সমস্যা হলে পেটে গ্যাসের সৃষ্টি হয় যার কারণেই পেট ফেঁপে থাকে।
৩.কোলেস্টেরল ঠিক রাখতে: কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে সেখান থেকে হার্টরোগ, হার্ট অ্যার্টাকের ঝুঁকি বাড়ে। সেই সঙ্গে কোলেস্টেরল বাড়লে তা শিরায় জমতে শুরু করে। গ্যাস্ট্রো প্যাকের উপাদা কোলেস্টেরলের মাত্র নিয়ন্ত্রণ রাখে।
৪.ওজন কমায়: গ্যাস্ট্রো প্যাকের উপাদান গুলো ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি বিপাক নিয়ন্ত্রণ, হজমের উন্নতি এবং শরীর থেকে অতিরিক্ত চর্বি অপসারণে সহায়তা করে। সেইসঙ্গে এর হালকা রেচক প্রভাব পাচনতন্ত্র পরিষ্কার করতে সাহায্য করতে পারে, যা আপনার ওজন কমানোর প্রচেষ্টায় সহায়তা করে।
৫.কোষ্ঠকঠিন্যতায়: কোষ্ঠকঠিন্য হলে এক থেকে দুই চা চামচ গ্যাস্ট্রো প্যাক নিয়ে ১ গ্লাস পানি নিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে বা রাতে শোয়ার আগে খেলে উপকার পাওয়া যায়। এতে রয়েছে প্রাকৃতিক সব উপাদান যা আমাদের পেটের পীড়া, কোষ্ঠকঠিন্যতায় উপকারী।
৬.হজমে সাহায্য করে: এর উপাদানগুলো দেহের বিপাক বাড়ানোর বৈশিষ্ট্যযুক্ত একটি উপাদেয়। উচ্চ ফাইবারের কারণে তৃপ্তি এবং ক্ষুধা যন্ত্রণা কম অনুভূত হয়ে থাকে। এটা সহজে কোন মানুষ বুঝতে পারে না। বর্ধিত বিপাকীয় হার স্বয়ংক্রিয়ভাবে দেহের শক্তির প্রয়োজনীয়তা বাড়িয়ে তুলবে যার ফলে চর্বিতে রূপান্তরিত করতে কম সংখ্যক ক্যালোরি প্রয়োজন হবে।
৭.পেট পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে: খাদ্যতালিকাগত ফাইবারের উচ্চতর উপাদানের কারণে অন্ত্রের খাবারের শোষণকে উন্নত করে। পেট পরিষ্কারে ওষুধের চেয়ে এটি অনেকগুণে উপকারী। সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে অর্শ্বরোগের সৃষ্টি হয়। অর্শ্বরোগ অনেক সময় ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধিতেও রূপান্তরিত হতে পারে। এসব সমস্যার শুরু থেকে সমাধান করতে উপকারী।
৮.ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে: এর উপাদানগুলো রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে কার্যকর। মূলত দেহের বিপাকক্রিয়া ধীর করে দেয়। ফলে কার্বোহাইড্রেটকে গ্লুকোজে রূপান্তরের পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। এ কারণে টাইপ টু ডায়াবেটিস যাঁদের রয়েছে, তারা এটি নিয়মিত খেতে পারেন। রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয়, কারণ এটি হজম প্রক্রিয়াটিকে গতিশীল করে।
৯. শরীরের ওজন কমাতে: যদি আপনি শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে চান কিংবা ওজন রক্ষণাবেক্ষণের ডায়েটে থাকেন তবে এটা আপনাকে অনেকাংশে সহায়তা করবে।
যদি এটি দানা বাদাম ও শুকনো ফলের সঙ্গে মিশ্রণ করে একমুঠো পরিমাণ খাওয়া যায়, তাহলে দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধামুক্ত থাকা যায়। এ জন্য খুব সহজেই শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়।
Login to ask a question