টবে চাষঃ টবের জন্য মাটি ও জৈব সার মিশিয়ে মাটি ঝুরঝুর করে তৈরি করে নিতে হবে। টবে ডাটা শাক চাষ করলে টবের আকার একটু বড় হওয়া প্রয়োজন। কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ কেজি মাটি ধরে এমন টব, ড্রাম বা স্টীলের বক্সে ডাটা শাকের বীজ বপন করা যেতে পারে। বীজ বপনের ১৫/২০ দিন পূর্বে জৈব সার মাটির সংগে মিশিয়ে দিতে হবে। বীজ বপনের পরে আর কোন সার প্রয়োগ করতে হবে না । শাক জাতীয় কোন টবেই রাসায়নিক সার বা কিটনাশক প্রয়োগ না করাই ভালো।
ডাটা শাক খেতে চাইলে গাছ হবার ২০-২৫ দিন পর গাছের আগা থেকে যতটুকু খাওা যায় তা ভেঙ্গে নিতে পারেন বা গাছ সহ উপশে ফেলতে পারেন। আর ডাটা খেতে চাইলে ৪০-৫০ দিন পর ডাটা বড় হলে তা উঠিয়ে সংগ্রহ করতে পারেন।
জমিতে চাষঃ ডাটায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন-এ, বি, সি, ডি এবং ক্যালসিয়াম ও লৌহ বিদ্যমান। ডাটার কাণ্ডের চেয়ে পাতা বেশি পুষ্টিকর। খুব কম সবজিতে এত পরিমাণে বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন ও খনিজ লবণ থাকে।
মাটির বৈশিষ্ট্য: ডাটার জন্য উর্বর ও গভীর মাটি প্রয়োজন। সুনিষ্কাশিত অথচ ‘জো’ থাকে এমন মাটিতে এটি সবচেয়ে ভাল জন্মে।
উৎপাদন কৌশল: বাংলাদেশে ডাটার আবাদ খরা মৌসুমেই করা হয়। শীত প্রকট ও দীর্ঘস্থায়ী নয় বলে রবি মৌসুমেও এর চাষ সম্ভব, তবে সেই সময় অন্য অনেক সবজি পাওয়া যায়।
জমি তৈরি: ডাটার জন্য জমি গভীর করে কর্ষণ ও মিহি করে প্রস্তুত করতে হবে। জমিতে বড় ঢেলা থাকবে না। বাংলাদেশে ডাটা প্রধানত কাণ্ড উৎপাদনের জন্য চাষ করা হয়। আমাদের বেশি জাতসমূহ কাণ্ডপ্রধান, এগুলো ডালপালা খুব কম উৎপাদন করে। এসব জাত ৩০ সে.মি. দূরত্বে সারি লাগানো যেতে পারে। চারা গজানোর পর ক্রমান্বয়ে পাতলা করে দিতে হবে। যেন শেষ পর্যন্ত সারিতে পাশাপাশি দুটি গাছ ৮/১২ সে.মি. দূরত্বে থাকে। যেসব জাতের কাণ্ড অনেক মোটা ও দীর্ঘ হয় এবং দেরিতে ফুল উৎপাদন করে সেগুলো আরও পাতলা করা উচিত।
বীজের পরিমাণ: ডাটা চাষের জন্য শতাংশ প্রতি ১৫ গ্রাম বীজের প্রয়োজন হয়।
বীজ বপন: জমি গভীরভাবে চাষ দিয়ে বড় ঢেলা ভেঙে মাটি ঝুরঝুরে করতে হবে। সারিতে কাঠির সাহায্যে ১.০-১.৫ সে.মি. গভীর লাইন টানতে হবে। লাইনে বীজ বুনে হাত দিয়ে সমান করে দিতে হবে। ছিটিয়ে বুনলে বীজের সঙ্গে সমপরিমাণ ছাই বা পাতলা বালি মিশিয়ে নিলে সমভাবে বীজ পড়বে। বপনের পর হাল্কাভাবে মই দিয়ে বীজ ঢেকে দিতে হবে। জমিতে পর্যাপ্ত রস না থাকলে ঝাঝরি দিয়ে হাল্কা করে পানি ছিটিয়ে দিতে হবে। তাহলে বীজ দ্রুত এবং সমানভাবে গজাবে।
অন্তর্বর্তীকালীন পরিচর্যা:গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য জমিকে আগাছামুক্ত রাখা আবশ্যক। প্রয়োজনমতো জমিতে সেচ না দিলে কাণ্ড দ্রুত আঁশমুক্ত হয়ে ডাটার গুণগতমান ও ফলন কমে যাবে। মাটির চটা ভেঙে ঝুরঝুরে করে দিলে গাছের বৃদ্ধির সুবিধা এবং গোড়াপচা রোগও রোধ হয়। চারা গজানোর ৭ দিন পর হতে পর্যায়ক্রমে একাধিকবার গাছ পাতলাকরণের কাজ করতে হবে। জাত ভেদে ৫-১০ সে.মি. অন্তর গাছ রেখে বাকি চারা তুলে শাক হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। যেহেতু দ্রুত বর্ধনশীল ফসল তাই সঠিক সময়ে ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে।
ফসল তোলা:কাণ্ডপ্রধান জাতে ফসল সংগ্রহের কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। গাছে ফুল আসার পূর্ব পর্যন্ত যে কোনো সময় ফসল তোলা যেতে পারে। ফুল আসলেই কাণ্ড আঁশময় হয়ে যায়। ডাটার কাণ্ডের মাঝামাঝি ভাঙার চেষ্টা করলে যদি সহজে ভেঙে যায় তাহলে বুঝতে হবে আঁশমুক্ত অবস্থায় আছে। তখনই সংগ্রহের উপযুক্ত সময় বলে বিবেচিত হয়।
<p><span style="color: #ecf0f1; background-color: #e03e2d;"><strong>অর্ডার কনফার্ম করার জন্য অবশ্যই পণ্যের সম্পূর্ন মূল্য অথবা ডেলিভেরি চার্জ মার্চেন্ট বিকাশে অগ্রীম প্রদান করতে হবে। অন্য কোন মাধ্যমে পেমেন্ট করলে সেটা রিফান্ড করে দেওয়া হবে।</strong></span><br /><span style="color: #ecf0f1; background-color: #e03e2d;"><strong>বিকাশ মার্চেন্ট পেমেন্ট নাম্বার- 01977775565</strong></span></p>
Login to ask a question