Rose Petals Powder ( গোলাপ পাপড়ি গুড়া )100gm

Category: Skin Care
SKU: VJA73298
Seller: VesojE Agro

Tk 160


জেনে রাখি ফুলের রানী গোলাপের কিছু গুণাগুণ:

প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চার অনুষঙ্গ হিসেবে গোলাপের পাপড়ি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। পূর্বে রানী এবং রাজকুমারীরা গোলাপের জলে স্নান করতেন। বর্তমান সময়ে ও সৌন্দর্য পিপাসু নারীরা রূপচর্চার গোলাপের ব্যবহার করে থাকে।  গোলাপের পাপড়ি দিয়ে রূপচর্চার কিছু পদ্ধতি জেনে নেওয়া যাক।

১.ত্বকের কোমলতা বাড়াতে: রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ২ কাপ পানিতে একটি তাজা গোলাপ ফুলের পাপড়ি ভিজিয়ে রাখুন। ঘুম থেকে উঠে এই পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের উজ্জ্বলতা ও কোমলতা বাড়বে।

২.ময়েশ্চারাইজার হিসেবে: ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ও ১ চা চামচ গোলাপের রস মিশিয়ে মুখে লাগান।এটি ত্বকে ময়েশ্চারাইজার এর কাজ করবে।

৩.ব্রণ দূর করতে: ব্রণের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে গোলাপের পাপড়ি। ব্রণের স্থানগুলোতে গোলাপের পাপড়ি বেটে লাগাতে পারেন।

– গোলাপের পাপড়ির সাথে কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে ব্রণের স্থানটিতে লাগিয়ে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি ব্রণের সমস্যা দূর করতে বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

– নিমপাতা ও আলুর সাথে গোলাপের পাপড়ি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগান। সপ্তাহে ২-৩ বার এটি ব্যবহার করতে পারেন।

৪.ডার্ক সার্কেল দূর করতে: চোখের নিচের কালি দূর করতে ও গোলাপের পাপড়ির ভূমিকা বেশ কার্যকরী।

৫.সানস্ক্রিন হিসেবে: রোদে বের হওয়ার আগে গোলাপের রস, আমন্ড অয়েল ও শসার রস মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন।এতে ত্বক রোদে পুড়ে যাওয়া হতে অনেকটাই বাঁচবে।

৬.হাতের যত্নে: ২ টেবিল চামচ চালের গুঁড়া ও একটি ডিমের কুসুমের সাথে গোলাপের পাপড়ি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে হাতে লাগিয়ে রাখুন ১৫-২০ মিনিট।তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।এটি হাতের উজ্জ্বলতা ও কোমলতা বাড়াবে।

৭.ঠোঁটের যত্নে: ঠোঁটের যত্নে লিপবামের চেয়েও কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে গোলাপের পাপড়ি।গোলাপের পাপড়ি বেটে তার সাথে দুধ আর মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবং তুলা দিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে রেখে দিন ১০ মিনিট।এটে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হয় ও গোলাপি আভা তৈরি হয়।

–গোলাপের পাপড়ির রস ও তুলসি পাতার রস মিশিয়ে ও ঠোঁটে ব্যবহার করতে পারেন।

৮.চুলের যত্নে: চূলকে প্রাণবন্ত ও মসৃণ করতে গোলাপের পাপড়ির জুড়ি নেই। ১ কাপ কসুম গরম পানিতে একটি তাজা গোলাপের পাপড়ি ভিজিয়ে রাখুন। এবার এর সাথে ১ টেবিল চামচ মধু ও ১ টেবিল চামচ বাদাম তেল মিশিয়ে ব্লেন্ড করুন। মিশ্রণটি মাথার তালুতে ঘষুন। ১৫-২০ মিনিট রেখে চুলে শ্যাম্পু করে নিন।

৯.সুগন্ধি তৈরিতে: যুগ যুগ ধরেই সুগন্ধি হিসেবে গোলাপের পাপড়ি ব্যবহৃত হয়ে আসছে।আপনি ঘরে বসেই খুব সহজে গোলাপের পাপড়ি দিয়ে পারফিউম তৈরি করতে পারবেন। এজন্য আপনার প্রয়োজন হবে গোলাপের পাপড়ি কুঁচি ২ কাপ, গোলাপ জল ও স্প্রে বোতল।

**সৌন্দর্যের উপাদান হিসেবে গোলাপের ব্যবহার সুপরিচিত হলেও গোলাপের রয়েছে কিছু ঔষধি গুনাগুন যেমন: যৌনজীবনে তৃপ্তি দেয়, চাপ-ধকল ও ওজন কমাতে সাহায্য করে। গোলাপ ফুলের সৌন্দর্য এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কয়েকটি যোগাযোগ উপকারিতার কথা এখানে দেওয়া হল।

১.ওজন কমাতে সাহায্য করে: গোলাপের পাপড়ির মধ্যে এমন উপাদান আছে যা মেটাবোলিজমের উন্নতি ঘটায় এবং শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়। রোজ টি খেলে সেটা অনুভূতির তৃপ্তি দেবার সাথে বেশী পরিমাণ খাওয়াও আটকায়। এটা স্বাভাবিক ভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে।

-গরম জলে টাটকা গোলাপের পাপড়ি দিন এবং জলের রঙ ফ্যাকাসে লাল হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। মিশ্রণের মধ্যে সামান্য মধু ও দারচিনির পাউডার মেশান। অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে রোজ এই চা খান। 

২.চাপ-ধকল এবং বিষণ্ণতা কমায়: অবসাদ-ক্লান্তি এবং চাপ-ধকল থেকে ইনসোমনিয়া এবং অস্থিরতা-ছটফটানি হয় যা থেকে উদাসীনতা এবং অস্বস্তি বাড়ে। গোলাপের পাপড়ি এবং তার সুবাস এই সমস্যা দূর করতে পারে।

-গরম জল বানিয়ে তার মধ্যে কয়েকটা গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে দিন। গরম ভাব ফুলের সুবাস বের করে। শরীর এবং মনকে আরাম দেবার জন্য এই জল দিয়ে স্নান করুন।

৩.অর্শের সমস্যা দূর করুন: গোলাপের পাপড়িতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার এবং জলীয় উপাদান থাকে। এর মধ্যের উপাদান শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিয়ে হজমে সাহায্য করে। এগুলো অর্শের রক্তপাত বন্ধ করে যন্ত্রণা উপসমে ।

৪.অ্যাস্ট্রিনজেন্ট হিসেবে কার্যকারি: গোলাপ জল ত্বকের জ্বালা ফুসকুড়ি নিরাময় করে, ত্বকে তেলের ভারসাম্য বজায় রাখে  ও তাকে নমনীয় বানায়। এটা যথোপযুক্ত অ্যাস্ট্রিনজেন্ট এবং গভীর ক্লিনজার ও টোনার হিসেবে কাজ দেয়। এটা আপনাকে স্বাভাবিকভাবে কম বয়সী করে দেয়।






Customer Questions and answers :

Login to ask a question