সুন্দর পাতাই স্নেক প্ল্যান্টের প্রধান আকর্ষণ। পাতাগুলো সাধারণত লম্বাচওড়া হয়। রঙ গাঢ় সবুজ। তার ওপর থাকে হালকা সবুজ, সাদাটে, ধূসর রঙের নকশা। গাছের গোড়া থেকে স্নেক প্ল্যান্টের পাতাগুলো অনেকটা খাড়া ভাবে বেড়ে ওঠে। সামান্য যত্ন পেলেই গাছ বড়ো হয় ও পাতার গোছা ঘন হয়ে ওঠে। কয়েক জাতের স্নেক প্ল্যান্ট গাছে পাতার চারপাশে হলদেটে বা রুপালি রঙের বর্ডার দেখতে পাওয়া যায়। এই গাছের উপকারিতা বাগান সাজানোর জন্য স্নেক প্ল্যান্ট গাছ লাগানো যায়। তাছাড়া ঘরের ভেতরে টবের সাহায্যে এই গাছ রাখা যায়। স্নেক প্ল্যান্টের জন্য খুব বেশ যত্ন দরকার হয় না। শুধু সৌন্দর্য বাড়ানো নয়, এই গাছের আরো অনেক উপকারিতা আছে। এ গাছ ঘরের বাতাসে জমে ওঠা নানান বিষাক্ত যৌগের বাষ্প দূর করতে দারুণ কার্যকর, যেমন—ফরম্যালডিহাইড,বনজিন,টলুইন,জাইলিন, ইত্যাদি। স্নেক প্ল্যান্ট গাছ রাতেও কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ করে। পৃথিবীর খুব কম গাছেরই এই গুণ আছে [Wikipedia]। স্নেক প্ল্যান্টের এই গুণগুলো বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় বারবার প্রমাণিত হয়েছে। বায়ু শোধনের জন্য বাড়ির বসার ঘর, শোবার ঘর ও রান্না ঘরে স্নেক প্ল্যান্টের টব রাখা যেতে পারে। বাথরুমেও কয়েকটা স্নেক প্ল্যান্ট গাছ রাখা ভালো। এছাড়া অফিসরুম, শোরুম, কারখানা চত্বর, হসপিটাল, ইত্যাদি জায়গাতে এই গাছ বেশি সংখ্যায় রাখা উচিত। বিশেষ করে, যেসব ঘরে ভেন্টিলেশন ভালো নয়, বা যে সব ঘরে এয়ারকন্ডিশনার আছে, সেখানে স্নেক প্ল্যান্ট (বা অন্য কোনো ভালো বায়ু শোধক ইনডোর গাছ) অবশ্যই রাখা উচিত
Login to ask a question